স্বদেশ ডেস্ক:
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বরচন্দ্র রায় বলেছেন, ‘ভারত কখনো পেঁয়াজ দিবে না, কখনো পানি দিবে না, আবার যখন পানির দরকার নেই, তখন পানি দিয়ে ডুবিয়ে মারবে। ৫০ বছর যাবত এটাই দেখে আসছি। সুতরাং দেশের প্রয়োজনীয় যেসব পণ্য আমদানি করতে হবে, সেসব পণ্যের উৎপাদনকারী দেশগুলোর সাথে আমাদের সুসম্পর্ক রাখতে হবে।’
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী নবীন দল আয়োজিত ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইসহাক সরকারের মুক্তির দাবিতে এক প্রতিবাদ সভায় গয়েশ্বর এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করেছে। ভারত দিবে না, তাতে আমাদের কী করার আছে? বরং আর কোনো দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা যায়, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।’ তিনি বলেন, দেশীয় আমদানিকারকদের বিভিন্ন জায়গা থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে।
মেজর (অব) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘মেজর সিনহাকে যে গুলি করেছে পুলিশের এসআই লিয়াকত, আমি মনে করি সেটা শেখ হাসিনা করেছেন। কারণ, শেখ হাসিনার কথার বাইরে তো পুলিশ নড়েচড়ে না। এমন কোনো সাবজেক্ট নাই, যা শেখ হাসিনা জানেন না।’
পৃথিবীর উন্নত রাষ্ট্রগুলো সব সময় সেবা খাতে ভর্তুকি দেয় উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, পৃথিবীর কোনো রাষ্ট্র ব্যবসা করে না। ব্যবসা করে ব্যবসায়ীরা। সরকার ইউটিলিটি সার্ভিস দেয়। তিনি আরও বলেন, ‘অকটেন আমদানি করে রিফাইনের পর খরচ পরে ৪৬ টাকা। অথচ এটি বিক্রি হচ্ছে ৮৯ টাকায়। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো কৃষিতে সর্বোচ্চ ৩০০ পার্সেন্ট পর্যন্ত ভর্তুকি দেয়। কিন্তু বাংলাদেশ ৩৫ পার্সেন্ট ভর্তুকিও কৃষি খাতে দেয় না। তেল বেচবেন চড়া দামে, চাল খাবেন সস্তা দামে। এটা তো মুদ্রার উল্টা।’